মানচিত্রে প্রচলিত প্রতীক চিহ্নসমূহ

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - ভূগোল ও পরিবেশ - মানচিত্র পঠন ও ব্যবহার | | NCTB BOOK

একটি মানচিত্রে তথ্য উপস্থাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় হলো :

  •  শিরোনাম (Title/ Heading):  প্রত্যেক মানচিত্রেরই একটি শিরোনাম থাকে। এটি কোনো দেশের বা কোনো অঞ্চলের কিসের মানচিত্র এতে তা উল্লেখ থাকে। যেমন- বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্র। প্রতিটি মানচিত্র তৈরির সময় এতে একটি শিরোনাম দিতে হবে। 
  • ভেল (Scale) : কোনো অঞ্চলের মানচিত্র তৈরির সময় এর আয়তনকে কমিয়ে ক্ষুদ্র করে আঁকতে হয়। একে ভেল অনুসারে আঁকা বলে। ভেল থেকে বোঝা যায় কোন আয়তনকে কতটুকু কমানো হয়েছে। ফেল যত ছোট হবে মানচিত্রে তত বেশি আয়তন দেখানো যাবে। মানচিত্রে যদি ১:১০0,000 লেখা থাকে তাহলে বুঝতে হবে মানচিত্রে ১ একক ভূমির ১০০,০০০ এককের সমান। আবার ফেল এঁকে দেখানো হয় যেমন— মানচিত্রে এক ইঞ্চি সমান ভূমিতে কত মাইল বা এক সেন্টিমিটার সমান কত কিলোমিটার।
  •  উত্তর দিক (North Line) : মানচিত্রের নিক জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মানচিত্রের উপরের দিকে বাম দিকের মার্জিনে একটি তীর নেওয়া থাকে। এই তীরের মাথায় উ. লেখা থাকে। উ. দিয়ে উত্তর নিক বোঝানো হয়। একটি দিক জানা থাকলে আমরা সহজেই অন্যদিকগুলো যেমন- দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম বের করতে পারি। মানচিত্র তৈরির সময় দিকনির্দেশনা দিতে হবে। মানচিত্রে দিক না দেখানো থাকলে উপরের দিককে উত্তর দিক বুঝতে হবে। মানচিত্রে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ স্পষ্ট করে দেখানো থাকলে উত্তর দিক না থাকলেও সকল দিক বোকা যায়। তাই অনেক সময় এক্ষেত্রে উত্তর দিক দেখানো হয় ।
  •  সূচক (Legend) : মানচিত্রে কোন প্রতীক দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে সূচক তা নির্দেশ করে। প্রতিটি মানচিত্রেই প্রতীক ও এদের সূচক উল্লেখ করতে হবে।
  • তথ্য উপাত্ত (Source of Data): সব মানচিত্র তথ্য বা উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি হয়। এজন্য তথ্যের উৎস মার্জিন বা মার্জিনের বাইরে নেওয়া প্রয়োজন।

 

 

Content updated By
Promotion